১৭৬৩ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ফকীর আন্দোলনের সময়কালে একটি অংশ পাগলা পমহীরা এ অঞ্চলে প্রবেশ করে ও পরবর্তী সময় টিপু শাহ্র নেতৃতেব কৃষক বিদ্রোহ চলাকালীন সময়ে অনেক আন্দোলনকারী নেতা উক্ত অঞ্চলে প্রভাব ফেলে । তারা ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার জন্য কৃষকদের সংগঠিত করতে থাকে । ফলে ইংরেজ সৈন্য বাহিনীর পদচারনায় ও সৈন্য শিবির স্থাপনে গ্রাম গুলো হয়ে উঠে উষ্ণ । এতে করে ইংরেজ সৈন্য বাহিনীরাও নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বৌহাটী ও বরোহাটী গ্রামের অদূরে নৌ যোগাযোগের সুবিধার্থে বরোহাটী গ্রামের নামকরণের অনুকরণে গড়ে তোলে অপর জনপদ যা তৎকালে ব্রাহাট্টা নামে পরিচিতি লাভ করে। বর্তমানে সেই ব্রাহাট্টা এখন বারহাট্টা নামে পরিচিতি পেলেও বারহাট্টা রেলস্টেশনের নামফলক খানা প্রাচীন ব্রাহাট্টা নামের স্মৃতি বহন করে চলছে । ব্রাহাট্টা নামের নামকরণ ১৮শ শতকের প্রথম পর্যায়ে অথবা ১৭শ শতকের শেষ পর্যায়ে অর্থাৎ নাটেরকোণায় ইংরেজ সৈন্য বাহিনীর অবসহানকালীন সময়ের বলে অনেক ঐতিহাসিক অনুমান করেন । আঠারশ শতকের আন্দোলন শেষ হলেও তৎপরবর্তী সময়ে ইংরেজ ও ইংরেজপুষ্ঠ জমিদার শ্রেণীর অত্যাচার নিপীড়নের মাধ্যমে খাজনাসহ অন্যান্য কর আদায়ের চেষ্টা করলে কৃষক প্রজা বিদ্রোহভাবাপন্ন হয়ে উঠে ও অভাবগ্রসহ শ্রেণীরা চুরিসহ নানা অবৈধপথে অর্থ সংগ্রহে এগোতে থাকলে, এলাকার শান্তি -শৃংখলাসহ প্রজা সাধারণকে নিরুপদ্রব করার লক্ষ্যে পুলিশ প্রশাসনের প্রয়োজন দেখা দেয় । পূর্ববঙ্গ ও আসাম গেজেটের বিজ্ঞাপন অনুসারে নোটিফিকেশন নং ৬৬৭৬ জে তারিখঃ ১৫ই জুন, ১৯০৬ মূলে বারহাট্টা থানা প্রতিষ্ঠা লাভ করে । থানা কার্যালয় নির্মাণের জন্য সহানীয় দানশীল ব্যক্তি রাধানাথ কর গং ভূমিদান করেন । তৎকালীন বারহাট্টা থানার আওতায় বর্তমান মোহনগঞ্জ ও কলমাকান্দা থানার অংশ ছিল । পঞ্চাশ দশকের সময় কাল পর্যন্ত বারহাট্টাতে ইনস্পেক্টর সার্কেল হেড কোয়াটার্স হিসাবে বারহাট্টা সহ আটপাড়া মোহনগঞ্জ, মদন, খালিয়াজুরী ও কলমাকান্দা এই ৬ টি থানার সার্কেল কার্য সম্পাদিত হত । প্রশাসনিক সুবিধার্থে ১৯৬২ সালে সার্কেল (উন্নয়ন )ও রাজস্ব সার্কেল অফিস স্থাপিত হয় । ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত আটপাড়া থানার সার্কেল উন্নয়নের কাজ বারহাট্টা থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয় । এবং ১৯৮৩ সালের ২ রা জুলাই বারহাট্টাকে উপজেলায় রুপান্তর করা হয় ।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS