বারহাট্টা উপজেলার আমঘাইল পিরিজপুর গ্রামের প্রাচীন জোড়াপুকুর। এর মধ্যে বড়টি ৬শ শতাংশ ও ছোট পুকুরটি ২শ শতাংশ ভূমি নিয়ে। প্রাচীন পাট্টা ইটের গাথুনীতে পুকুরের ঘাট বাধাঁনো ছিল। তার ধ্বংশপ্রাপ্ত চিহ্ন এখনো দেখাযায়। বাড়ীর নাম কোর্টবাড়ী, বাজার না থাকলেও দেওয়ানের বাজার নামকবাড়ীর পাশেই একটি স্থানের নাম রয়েছে। সে বাড়ীটিতে বর্তমানে একটি মুসলিম পরিবার বসবাস করে। বাড়ীর আঙ্গিনায় প্রচুর ধ্বংশপ্রাপ্ত ইমারতের চিহ্ন এখনো পরিলক্ষিত হয়। সে এলাকাটি প্রাচীন ধালেশ্বরী নদীর তীরে ছিল বলে স্থানীয় অনুসন্ধানে পাওয়া যায়। এখনো সে নদীর রেখাচিহ্ন বুঝা যায়। প্রাচীন সে নদীর তীরবর্তী আমঘাইল পিরিজপুরের দক্ষিণে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে সাউদপুরে একটি ভগ্ন ইমরত রয়েছে। যা ৩৫০ বর্গফুট বর্গাকৃতির। সাউদপাড়ারার ভগ্ন ইমারত ও আমঘাইল এর ধ্বংশপ্রাপ্ত বাড়ী, পুকুরগুলো মোগলযুগের বলে স্থানীয় বয়োবৃদ্ধরা অনুমান করেন। ইটের ধরন দেখে মোগল যুগের শাসক শ্রেণীর অবস্থান ছিল বলে সহজেই বুঝা যায়। সিংধায় একটি প্রাচীন দেবমন্দির এখন ধ্বংশপ্রাপ্ত হয়ে আছে। বারহাট্টা বাজারের মন্দিরটিও প্রাচীন। সম্প্রতিকালে মন্দিরের মাটির নীচে একটি প্রাচীন কষ্টিপাথরের মুর্তি উদ্ধার হয়েছিল। স্থানীয় প্রভাবশালীরা তা উদ্ধার করে কোথায় রেখেছে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস